বিসিএস পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি । শেষ মুহূর্তের কড়চা : ৩৫তম । BCS preparation at the last time | লিখেছেন ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম সুশান্ত পাল। - Bangladeshi Jobs Circular and Exam Preparation Blog

Latest

This website for Bangladeshi jobs circular and exam preparation blog. Government Jobs, Non-Government Jobs all kinds jobs circular will be published here.BCS, Non-Cadre Jobs extra care blog.

BANNER 728X90

Friday, July 21, 2017

বিসিএস পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি । শেষ মুহূর্তের কড়চা : ৩৫তম । BCS preparation at the last time | লিখেছেন ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম সুশান্ত পাল।

বিসিএস পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
শেষ মুহূর্তের কড়চা : ৩৫তম । 
BCS preparation at the last time


শেষ মুহূর্তের কড়চা : ৩৫তম
লেখাটি যখন পড়ছেনতার ঠিক  দিন পর থেকেই পরীক্ষা শুরু আমি পরীক্ষার্থী হলে  সময়ে যা যা করতামএবং পরীক্ষার হলে যাযা করেছিনিচে লিখে দিচ্ছি :

1. নিশ্চয়ই সাধারণ বিজ্ঞান  প্রযুক্তি এবং বাংলা এখন না পড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পড়ার জন্য রেখে
দিতাম।
2. 
কোন প্রশ্নটাতে কত সময় দেবোসেটা প্রশ্নের গুরুত্ব এবং সময়বণ্টন অনুযায়ী ঠিক করে ফেলতাম।
3. 
কে কী পড়েছেসে খবর কিছুতেই নিতাম না।  সময়ে মনমেজাজ খারাপ করার তো কোন মানেই হয় না।
4. 
যা যা পড়েছিতার তেমনকিছুই মনে থাকবে নাএটা মেনে নিতাম।
5. 
পরীক্ষায় বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই ওই মুহূর্তে মাথায় যা আসে তাকিংবা মাথায় কিছু না এলেও জোর 
করে এনেলিখে দিয়েআসতে হয় তাই এতদিন যাকিছু পড়েছিসেসবকিছুতে খুব দ্রুত চোখ বুলিয়ে নেয়ার 
চেষ্টা করতামযাতে পরীক্ষার হলে কোন প্রশ্নএকেবারে আনকোরা মনে না হয়!
6. পেন্সিলকলমরাবারচৌকোনা স্কেলক্যালকুলেটর এসব গুছিয়ে রাখতাম। পরীক্ষার হলে কয়েকটা
চালু কলম’ নেয়া ভাল।(আমি মূল খাতাটির পৃষ্ঠাগুলিতে চারদিকে মার্জিন করেঅতিরিক্ত পৃষ্ঠাগুলির 
চারদিকে ভাঁজ করে দিয়েছিলাম।)।
7. 
গড়ে প্রতি - মিনিটে এক পৃষ্ঠা লিখেএকজাম হলে সবার আগে আমিই ‘লুজ শিট’ নেব ব্যাপারটা 
মাথায় রাখতাম। লিখিতপরীক্ষা নিঃসন্দেহে ছোটবেলার ‘যত বেশি সম্ভব তত বেশি’ লেখার পরীক্ষা।
8. 
বাসা থেকে বের হওয়াফেসবুকে ঘন ঘন লগইন করাকোচিংয়ে যাওয়াঅনাবশ্যক ফোনে গল্প করা
এসব মাথাতেও আনতামনা।
9. 
লিখিত পরীক্ষা সুস্থ শরীরে মাথা ঠিক রেখে - ঘণ্টা না থেমে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এক নাগাড়ে 
উত্তর লেখার পরীক্ষা। তাই,পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই খুব ভাল একটা ঘুম দরকার।
10. 
প্রস্তুতি ভাল কিংবা খারাপ যা হোক না কেনপরীক্ষায় ভাল করার একটা সিক্রেট হলএকজাম হলে
আই অ্যাম দ্য বেস্ট!’ ভাবটা যতক্ষণ পরীক্ষা দিচ্ছি ততক্ষণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ধরে রাখা।এটা সত্যিই ম্যাজিকের মত কাজ করেআমার চাইতে কেউ বেশি পারেকিংবা আমার চাইতে কেউ ভাল 
লিখছেএটা মাথায় রাখলে আত্মবিশ্বাস কমে যাবে । ভাল পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতিরচাইতে পরীক্ষার হলে 
আত্মবিশ্বাসটাই বেশি কাজে লাগে।
11. আমার অভিধানে ‘আনকমন প্রশ্ন’ বলে কিছু নেই ।পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন না এলে বানিয়ে লিখে দিয়ে আসতে হবেবানাতে না পারলে কল্পনায় আনতে হবে
কল্পনায় না এলে জোর করে কল্পনা করতে হবে। আমি উত্তর করছি নাএটা কোন সমস্যা না।সমস্যা হল,কেউ না কেউ সেটা উত্তর করছে।
12. আমি বিশ্বাস করিভাল প্রস্তুতি থাকলেই যেমনি ভাল পরীক্ষা দেয়া যায় নাতেমনি খারাপ প্রস্তুতি 
থাকলেই খারাপ পরীক্ষা দেয়াযায় না। ফলাফল সবসময়ই চূড়ান্ত ফলাফল বের হওয়ার পরআগে নয়।এর আগ পর্যন্ত আমি কিছুতেই কারোর চাইতে কোন অংশেইকম নই।
13. 
আগে কী পড়িনি যা পড়া উচিত ছিলসেটা নিয়ে মাথাখারাপ না করেকী কী পড়েছিসেটা নিয়ে 
ভাবতাম বেশি।
14. 
লিখিত পরীক্ষায় এত দ্রুত আর এত বেশি লিখতে হয় যে মাঝে মাঝে লিখতে লিখতে মনে হয় যেন 
হাতের আঙুলের জয়েন্টগুলিখুলে পড়ে যাবে তবুও লিখেছিননস্টপআক্ষরিক অর্থেই।ওই - ঘণ্টাতেই ছিল আমার জীবিকার ছক গাঁথা। বিসিএস পরীক্ষা মূলতলিখিত পরীক্ষায় বেশি মার্কস 
পাওয়ার পরীক্ষা।
15. 
সংবিধানের সব ধারা আমার মুখস্থ ছিল নাঅর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যউপাত্তও অত ভাল জানতাম না
মুখস্থবিদ্যা ছিল নাতবুওআমি চাকরি পেয়েছি। তবে আপনি পাবেন না কেন?
16. 
 সময়ে কিছু অভিনব প্রশ্নসমৃদ্ধ ‘টাচ অ্যান্ড পাস’ টাইপের সাজেশনস পাওয়া যায়।এসব থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতামনিজেরসাজেশনসের উপর নির্ভর করাই ভাল।
17. 
যেসব প্রশ্ন বারবার পড়লেও মনে থাকে নাসেসব প্রশ্নকে আমি বরাবরই নিজগুণে ক্ষমা করে দিয়েছি।সবাই সবকিছু পারে না,সবকিছু সবার জন্য নয়।
18. 
টেনশন থাকবেই। পরীক্ষা দিয়ে টেনশন করাটাও একটা সাধারণ ভদ্রতা।আমাকে না হয় কয়েকজন মানুষের প্রত্যাশার চাপসামলাতে হয়কিন্তু একজন সৌম্য সরকারকে তো অন্তত
১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ মাথায় রেখে খেলতে হয়।  পারলে আমিকেন পারব না?
19. 
বেশি পড়া হলে ভাল পরীক্ষা দেয়া যায়এমনটা নাও হতে পারে। ভাল প্রস্তুতি নেয়ার চাইতে ভাল 
পরীক্ষা দেয়াটা বেশিগুরুত্বপূর্ণ।
20. 
হাতের লেখা সুন্দর হোক বা না হোকহাতের লেখা যাতে পড়া যায়।নীল কালিতে কোটেশন আর রেফারেন্স দিয়ে সবকিছু উত্তরকরে হাতের লেখা সুন্দর রাখাটা রীতিমতো 
দুঃসাধ্য!
21. 
কোন প্রশ্নের উত্তর কত পৃষ্ঠা লিখতে হবেসেটা নির্ভর করে প্রশ্নটির নম্বরগুরুত্বসময় আর আপনার
লেখার দ্রুততার উপর।সময় সবার জন্যই তো সমানএটার সঠিক ব্যবস্থাপনাই আসল কথা
এবার যা হয় হোকপরেরবার একদম ফাটায়ে পরীক্ষা দিব” এটা প্রতিবার পরীক্ষা দেয়ার সময়ই আপনার মনে হতে থাকবে। তাইনিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে পরীক্ষা দিন। ভাগ্যে থাকলে এবারেই ক্যাডার হবেন

No comments:

Post a Comment